প্রকাশ : ১৩ মে ২০২২, ২১:১৮
এম.এ. হান্নানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে ফরিদগঞ্জে বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি'র সাবেক সভাপতি বর্তমান উপজেলা বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব এম এ হান্নানের বিরুদ্ধে একটি বেসরকারী টেলিভিশনে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া করতে লক্ষ্য করা গেছে।
|আরো খবর
ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি শরিফ মোঃ ইউনুছ সেই দিনকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি দুই বারের বিএনপির এমপি মনোনয়ন প্রাপ্ত আলহাজ্ব এম এ হান্নানের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রী মহল তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্য, শহীদ জিয়ার সমাধিস্থলে ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্যেশ্যমুলক মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট খবর প্রচার করেন। ফরিদগঞ্জ বিএনপি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। বিএনপিতে টাকার বিনিময়ে কাউকে মনোনয়ন দেয়া হয়না। বিএনপিতে যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে মনোনয়ন প্রদান করেন। সরকারের দালাল মিডিয়া এই ধরনের মিথ্যা ভিত্তিহীন খবর প্রচার করে বিএনপিকে হেয় পতিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। ফরিদগঞ্জের বিএনপি আলহাজ্ব এম এ হান্নান সাহেবের নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ আছে।
অন্যদিকে, সেইদিনকার ঘটনাকে স্বচক্ষে দেখা ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান দুলাল বলেন, ১১মে বুধবার দুপুরে রাজধানীতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করে বিএনপির নেতৃবৃন্দ। শ্রদ্ধা নিবেদনের কার্যক্রম শেষে আসার সময় ‘সময় টেলিভিশন’র রিপোর্টার সালেহীন, এম এ হান্নান সাহেবসহ বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে গায়ে পড়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে খারাপ ব্যবহার করে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনারা দেখেছেন। তবে দু:খের বিষয় পরবর্তীতে এ ঘটনা নিয়ে ভিডিও এডিটিং করে মিথ্যাভিত্তিহীন তথ্যদিয়ে সংবাদ প্রচার করা হয়। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
উপজেলা বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, কোন মিডিয়ার মালিক পক্ষ বা সংবাদ সংস্থা চায়না তার কোনো রকম মিথ্যা সংবাদে ওই মিডিয়ার দুর্নাম হোক। তিনি সেই দিনকার ঘটনার একজন রাজসাক্ষী হয়ে বলেন, সময় টিভি একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাটছাঁট করে এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করবে যাহা বিশ্বাসযোগ্য নয়। কিন্তু, সেইদিনকার রিপোর্টার সালেহীন যে ঘটনার জন্ম দিলেন সেই ঘটনার জন্য সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকদের একেবারেই নিচু করে ফেললেন। তিনি আশা করেন সময় টিভি এই মিথ্যা সংবাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করবেন। তিনি আরো বলেন আলহাজ্ব এমএ হান্নান একজন জনপ্রিয় লোক এবং দানশীল ও দানবীর লোক। একথা বিএনপির হাইকমান্ডের অনেকে জানেন। তার জনপ্রিয়তা যাচাই-বাছাই করেই তাকে বিএনপি দুইবার নমিনেশন দেয়। সেই দিনকার ঘটনা কে করিয়েছেন সেটা এখন আর আমাদের এবং ফরিদগঞ্জের মানুষের বুঝতে বাকি নেই। সময় টিভির সেই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
চাঁদপুর জেলা যুব দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ মিয়াজী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধি স্থল থেকে চলে আসার সময় ঐ সাংবাদিক হান্নান সাহেবকে পিছু নিয়ে ওনাকে উদ্দেশ্য করে বার বার নোংরা ও উস্কানিমূলক বাক্য ব্যবহার করেছে। এবং উপস্হিত নেতা কর্মীদের সাথে ঐ সাংবাদিকের কথা কাটাকাটি হয়। ঐ সাংবাদিক কে সিনিয়র নেতারা অনেক বুঝনোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু ঐ সাংবাদিক বার বার ধমকের সুরে থ্রেড মূলক কথা বলতে থাকে।
=আমরা ঘটনাস্থল উপস্থিত সাক্ষী....
আমি ঐ বেয়াদব সাংবাদিকের অসৎ উদ্দেশ্যে বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিক ২:৪১ মিনিটের একটি ভডিও রেকর্ড করি। যা পরবর্তী সকলে দেখেছে। তখন ঐ সাংবাদিক আমার সাথেও বেঙ্গাত্তক ও থ্রেড মূলক হুঙ্কার দেয়। আমার ভিডিও তে তার প্রমাণ পাবেন। ঐ সাংবাদিকের ভিডিওটি ছিলো প্রায় ১০ মিনিটের। কাটসাট করে জোড়া তালি দিয়ে ১:৪২ সেকেন্ড সময় টিভিতে দেখিয়েছে। তার পুরা ভিডিওতে ও আমার রেকর্ড করা ১:৪১ মিনিটের ভিডিও প্রমান পাবেন। সর্বসাকুল্যে বুঝা যাচ্ছে পুরা ঘটনাটি, ঐ সাংবাদিকের পূর্ব পরিকল্পিত। আমি ঐ সাংবাদিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করি।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা পৌর বিএনপি'র সভাপতি আমানত হোসেন গাজী বলেন, সেই দিনকার ঘটনা আমার স্বচক্ষে দেখা। ঘটনা এবং পরে সময় টিভিতে প্রচারিত সংবাদের সাথে মিলিয়ে দেখলাম এটা হান্নান সাহেবের এন্টি পক্ষের কাজ। এন্টি পক্ষ ভেবেছিল হান্নান সাহেবকে সাংবাদিক দ্বারা বিচলিত করে একটি মিথ্যা নিউ সাজাবে এবং আগামীতে হান্নান সাহেব যেন নমিনেশন না পায় সেই রকম কিছু দাঁড় করাবে। কিন্তু আমাদের পক্ষের যারা ছিল তারাও সেখানে ভিডিও করাতে সময় টিভির ওই রিপোর্টারের মিথ্যা ও পরিকল্পিত নিউজ সম্পন্ন মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে যায়।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মহসিন মোল্লা তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধি স্থলে, ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি'র প্রধান সমন্বয়ক আলহাজ্ব এম এ হান্নান সাহেবের সাথে যে ঘটনা ঘটেছে তা সম্পূর্ণই পূর্বপরিকল্পিত। এবং ঐদিন কার ঘটনার ভিডিও অবলোকন করে বুঝতে পেরেছি ওই রিপোর্টারকে অবশ্যই ভাড়া করে এখানে পাঠানো হয়েছে। ১০ মিনিটের ভিডিও কে কাটছাঁট করে এক মিনিট কয়েক সেকেন্ডের মিথ্যা বানোয়াট রিপোর্ট তৈরি করে সময় টিভিতে প্রচার করে। ওই মিথ্যা রিপোর্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই
উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আবদুল মতিন জানান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহামানের সমাধিতে পুষ্পস্তাবক অর্পন করতে গিয়ে তথা কথিত সাংবাদিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ফরিদগঞ্জের আপামর জনসাধারণের প্রিয় মানুষ, ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, বর্তমান বিএনপি'র প্রধান সমন্বয়ক দানবির আলহাজ এম এ হান্নান ভাইয়ের সাথে যেই অসৌজন্যমূলক আচরন ও ভিত্তিহীন বানোয়াট মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করেছে, আমি সময় টিভির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তদন্ত করে ওই সাংবাদিকের বহিষ্কার চাই। এবং সময় টিভির ঐ মিথ্যা সংবাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করবে এই দাবি জানাচ্ছি।
এছাড়াও ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মহল থেকে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে গত ১১ তারিখের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিন্দার ঝড় বইছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ তারিখ চাঁদপুর জেলার নবগঠিত বিএনপির কমিটি ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপির নেতৃবৃন্দ ঢাকাস্থ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যায়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নেতাকর্মী ও সমর্থক বিন্দু চলে আসার সময় কথিত এক সাংবাদিক ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি'র প্রধান সমন্বয়ক আলহাজ্ব এমএ হান্নানের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকে। পরে ওই সাংবাদিক সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সময় টিভিতে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে। যাহা ওই ঘটনার পুরো ভিডিওটি দেখলে সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমাণিত হইবে।